আমাদের দেশে প্রায় অধকাংশ মানুুষই কৃষির সাথে মিল রয়েছে। এবং তার সাথে সাথে গবাদি পশু পালন ও্র রয়েছে । আর তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবার সম্মুখাপানী হলো গরু পালন।
আজকে আমরা জানবো গরুর বিভিন্ন জাতের নাম গরুর বৈশিষ্ঠ েএবং সুবিধা অসুবিধা
আমাদের দেশে এখন বর্তমানে দুই ধরনের গরুর খামার দেখা যায়।
1. দুধালো বা (ডেইরি সেক্টর) আর
2. মাংসালো বা ফ্যাটেনিং
আমাদের দেশে প্রায় কয়েকধরনের গরুর জাত দেখা যায । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো
- দেশি ষাড়
- হলেইস্টন ফ্রিজিয়ান
- জার্সি
- শাহিওয়াল
- গির ( নেপালি)
- সিন্ধি
- ব্রাহমা
#দেশি ষাড় ঃ
দেশি ষাড়কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়।
১. পাবনা ব্রীড
২. রেড চিটাগাং
উপরের গরু গুলোর মধ্যে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
১. দুধালো:
দুধালো জাতের মধ্যে পড়ে ফ্রিজিয়ান ও জার্সি
২. মাংসালো:
এই জাতের আওতায় আসে ৩ টি জাত
১. ব্রাহমা ২. শাহিওয়াল ৩. সিন্ধি
তাছাড়া আরো কয়েকটি জাত হলো শক্তি উৎপাদনকারী
১. অমৃত মহল ২. ধান্নি ৩. কৃশ্ন ভেলি ৪. অংগল ৫. ভাগনারি ৬. মালভি
দ্বৈত উদ্দেশে জাত ৩ টি :
১. হারিয়ানা ২. শাহিওয়াল ৩. সিন্ধি
# দেশি গরু
- রেড় চিটাগাং
- মাঝারি আকারের দেশি গরু
- ছোট আকারের দেশি গরু বা বেটে গরু
- গায়ের রঙ হালকা লাল
- পিছন দিক মোটা বা ভারী
- চামড়া পাতলা , গলগম্বল ছোট
- গাভী ও ষাড়ের ওজন যথাক্রমে ২২০-২৩০ ও ৩৫০-৪০০
- হালকা বা গাড় লাল রঙের হয়ে থাকে।
- গলগম্বল বড় ও ঝুলানো থাকে।
- শিং খাটো ও মোটা হয়ে থাকে।
- লেজ খাটো হয় না।
- মাথা সরু ও ঘাড় ছোট হয়।
- পিছনদিক মোটা ও ভারী হয়।
- গায়ের রঙ টকটকে লাল বর্ণের হয়।
- গজ বা কুজ থাকে এবং কান লম্বা ঝুলানো থাকে।
- গলগম্বল বড় ও ঝুলানো থাকে।
- শিং বড় ও কপাল চওড়া।
- দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ৬-১০ লিটার।
- দুধ ও মাংসের জন্য বিখ্যাত।
- গাড় লাল ও হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।
- ষাড় ও গাভীর ও্জন যথাক্রমে ১২০০ ও ৮০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- বাছুর প্রায় ৩০ কেজি ওজনের জন্মগ্রহণ করে।
- ইন্ডিয়ার গুজরাট থেকে এই জাত এসেছে।