গরুর জাত বৈশিষ্ঠ্য ও চেনার উপায়

BDFarmes
3 minute read
0

 


আমাদের দেশে প্রায় অধকাংশ মানুুষই কৃষির সাথে মিল রয়েছে। এবং তার সাথে সাথে গবাদি পশু পালন ও্র রয়েছে । আর তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়  এবং সবার সম্মুখাপানী হলো গরু পালন। 

আজকে আমরা জানবো গরুর বিভিন্ন জাতের নাম গরুর বৈশিষ্ঠ েএবং সুবিধা অসুবিধা

আমাদের দেশে এখন বর্তমানে দুই ধরনের গরুর খামার দেখা যায়। 

1. দুধালো বা (ডেইরি সেক্টর) আর 

2. মাংসালো বা ফ্যাটেনিং

আমাদের দেশে প্রায় কয়েকধরনের গরুর জাত দেখা যায । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো

  1. দেশি ষাড়
  2. হলেইস্টন ফ্রিজিয়ান
  3. জার্সি
  4. শাহিওয়াল
  5. গির ( নেপালি)
  6. সিন্ধি
  7. ব্রাহমা


#দেশি ষাড় ঃ

দেশি ষাড়কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। 

১. পাবনা ব্রীড

২. রেড চিটাগাং


উপরের গরু গুলোর মধ্যে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়। 

১. দুধালো:

 দুধালো জাতের মধ্যে পড়ে ফ্রিজিয়ান ও জার্সি

২. মাংসালো:

এই জাতের আওতায় আসে ৩ টি জাত 

১. ব্রাহমা     ২. শাহিওয়াল      ৩. সিন্ধি 


তাছাড়া আরো কয়েকটি জাত হলো শক্তি উৎপাদনকারী

১. অমৃত মহল     ২. ধান্নি     ৩. কৃশ্ন ভেলি     ৪. অংগল    ৫. ভাগনারি    ৬. মালভি


দ্বৈত উদ্দেশে জাত ৩ টি :

১. হারিয়ানা     ২. শাহিওয়াল     ৩. সিন্ধি


# দেশি গরু

  • রেড় চিটাগাং
  • মাঝারি আকারের দেশি গরু
  • ছোট আকারের দেশি গরু বা বেটে গরু
*রেড় চিটাগাং গরুর বৈশিষ্ঠঃ 
  • গায়ের রঙ হালকা লাল
  • পিছন দিক মোটা বা ভারী 
  • চামড়া পাতলা , গলগম্বল ছোট
  • গাভী ও ষাড়ের ওজন যথাক্রমে ২২০-২৩০ ও ৩৫০-৪০০

* মাঝারি আকারের দেশি গরুঃ 
মুন্সিগন্জ, মানিকগন্জ ‍ও পাবনার শাহাদাতপুর এলাকায় এই জাতের গরু বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এই জাতের গরুর দৈনিক ৩০০-৬০০ গ্রাম বৃদ্ধি পায়। 

*হলেস্টেইন ফ্রিজিয়ানঃ
এই জাতের গরু সাধারনত দুধের জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকে। গায়ের রঙ সাদা কালো। প্রাপ্ত বয়স্ক ষাড় গরুর ওজন ৫০০-১০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই জাতের গরু উপরে কোনো ধরনের গজ বা কজ থাকবে না।  এই জাতের ষাড় ও গাভীর গড় ওজন যথাক্রমে ৭০০-১০০০ ও ৬০০-৮০০ কেজি হয়। এবং এ গরুগুলা দুধ উৎপাদন ক্ষমতা খুব বেশি। এই গরু দুধ দেয় পায় ৩০-৩৫ লিটার এবং দুধের ঘনত্ব খুব একটা বেশি না। 


*জার্সি গরুঃ
এই জাতের গরু গুলো সাধারনত আকারে ছোট হয়। এবং এই গরু গুলোও ফ্রিজিয়ান গরুর মতো দুধের জন্য বিখ্যাত ।  এই জাতের গরু সাধারনত ফ্রিজিয়ান গরুর তুলনায় আকারে ছোট ও  দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কম। তবে ফ্রিজিয়ান গরুর তুলায় দুধের ঘনত্ব বেশি । এই দুুধ খুব সুস্বাদু হয়। এই জাতের ষাড় গরুর ওজন ৫৪০-৮২০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং গাভীর ওজন ৪০০-৫০০ কেজি। বাছুরের ওজন পায় ২৫-৩০ কেজি।


*শাহিওয়াল গরুঃ
মুলত মাংস ও দুধের জন্য বিখ্যাত এই জাতের গরু। ষাড় ও গাভীর ওজন যথাক্রমে ৭০০-১০০০ ও ৪০০-৬০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে  থাকে। 
বৈশিষ্ঠঃ 
  • হালকা বা গাড় লাল রঙের হয়ে থাকে। 
  • গলগম্বল বড় ও ঝুলানো থাকে। 
  • শিং খাটো ও মোটা হয়ে থাকে।
  • লেজ খাটো হয় না।
  • মাথা সরু ও ঘাড় ছোট হয়। 
  • পিছনদিক মোটা ও ভারী হয়। 
সুবিধাঃ 
 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, প্রচন্ড গরমেও টিকে থাকতে পারে। সাধারনত দীঘায়ু হয়ে থাকে। উৎকৃষ্ট মানের ‍ঘি ও অনান্য দুদ্ধজাতীয় তৈরি করা যায়  এই জাতের গরুর দুধ থেকে।

অসুবিধাঃ
প্রজননক্ষমতা কম। প্রজনন হতে সময় লাগে। দুধ উৎপাদন কাল কম হয়ে থাকে। 

*সিন্ধি গরু
  • গায়ের রঙ টকটকে লাল বর্ণের হয়। 
  • গজ বা কুজ থাকে এবং কান লম্বা ঝুলানো থাকে। 
  • গলগম্বল বড় ও ঝুলানো থাকে।
  • শিং বড় ও কপাল চওড়া। 
  • দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ৬-১০ লিটার। 

সুবিধাঃ 
 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, প্রচন্ড গরমেও টিকে থাকতে পারে। সাধারনত দীঘায়ু হয়ে থাকে। উৎকৃষ্ট মানের ‍ঘি ও অনান্য দুদ্ধজাতীয় তৈরি করা যায়  এই জাতের গরুর দুধ থেকে।

অসুবিধাঃ
প্রজননক্ষমতা কম। প্রজনন হতে সময় লাগে। দুধ উৎপাদন কাল কম হয়ে থাকে। 


*গির জাতীয় গরুঃ
  • দুধ ও মাংসের জন্য বিখ্যাত।
  • গাড় লাল ও হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।
  • ষাড় ও গাভীর  ও্জন যথাক্রমে ১২০০ ও ৮০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
  • বাছুর প্রায় ৩০ কেজি ওজনের জন্মগ্রহণ করে। 
  • ইন্ডিয়ার গুজরাট থেকে এই জাত এসেছে।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)