আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো মরগির জাত, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা , প্রতিকার এবং অপারেশন।
প্রথমে আসি মুরগির জাত নিয়ে । মুরগি বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কিছু জাত রয়েছে।
- ব্রয়লার
- লেয়ার
- দেশি
- ফাউমি/ পাকিস্তানি
- সোনালি বা ক্রস
এরপর আসে উপরে জাত গুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।
- ব্রয়লার
- কব ( Cobb)
- রোস (Ros
- লেয়ার
- লেগহর্ন
- হাইসেক্স
- রেড ব্রাউন
- সাদা ব্রাউন
- দেশি
- গলাছিলা
- লোকাল যেইগুলা পাওয়া যায়
তো এইগুলা গেলো মুরগির জাত ও প্রকারভেদ। এবার আসি আমরা মুরগির রোগ নিয়ে।
- রাণিক্ষেত
- বার্ড ফ্লু
- পলোরাম রোগ
- ফাউল করেলা
- ইনফেকশনাল ক্লোরাইজা
- পক্স বা বসন্ত রোগ
- গামবোরা
- কৃমি বা পারজীবী
- রক্ত আমাশয়
- হিট স্ট্রোক
এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর রোগ হলো রাণিক্ষেত। এই রোগ হলে মুরগি অচিরেই মারা যাবে এবং বাকি মুরগিদের কেও আক্রান্ত করবে। তাই আগে ভাগেই সাবধান হয়ে নেওয়া ভালো। এই রোগগুলা চেনা খুব সহজ এবং খুব কঠিন। সহজ এবং কঠিন বলার কারণ হলো যেগুলা সরাসরি দেখে চেনা যায় সেগুলা খুবই সহজ। এদের মধ্যে হলো পক্স , রক্ত আমাশয় এইগুলা। আ যেগুলা আক্রান্ত হলে বুঝা যায় না এবং মারা যাওয়ার পর এইগুলার অপারেশন এর মাধ্যমে সেগুলোকে নির্ণয় করা লাগে সেইগুুলাই খুব কঠিন। এইগুুলা বুঝার জন্য ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দেওয়া হলো
:https://www.youtube.com/watch?v=8SRfRxJksr0&t=364s
রাণিক্ষেত ও গামবোরার ক্ষেত্রে: প্রথমেই একটা আক্রান্ত মরা মুরগি বেছে নিতে হবে। এবং সেটা ছারি বা কাচির সাহায্যে কাটতে হবে। এবং এই রোগ গুলো চেনার জন্য দেখতে হবে রান ভালো আছে কি না। এবং খুব ভালো করে দুটো রার ই দেখতে হবে। তার সাথে বুক পিঠ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে কোনো ধরনের ক্ষতের চিহ্ন আছে কি না। এই কাজ গুলো শেষ হলে মুরগির ভিতরের অংশে যেতে হবে। তারপর দেখবো আমরা মুরগির লিভার, এইটা দেখার পর দেখতে হবে মুরগির গলার অংশ। এবং এইটার মাধ্যমেই বুজতে হবে যে রাণিক্ষেত্র হয়েছে না কি গামবোরা রোগ হয়েছে।
মুরুগির খাদ্যনালির সাথে বা নিচের অংশকে বলা হয় ক্রপ। সেই ক্রপ কেটে দেখতে হবে যে সেখানে অনেকগুলা ছোট ছোট গোটা আছে কি না। যদি থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে যে এই মুরগির রাণিক্ষেত হয়েছিলো। আর যদি দেখেন ছোট ছোট গোটা আছে কিন্তু সারিবদ্ধভাবে তাহলে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে যে এই মুুরগির গামবোরা হয়েছে।